ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
রাসেল ভাইপার নিয়ে গুজব
নিউজ আপডেট,২১জুন
২০২৪
ফাইল
ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার
কোথাও রাসেল ভাইপার সাপে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। যদি কেউ এই সাপে আক্রান্ত
হয় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। আক্রান্ত কাউকে যেন কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়ে কালক্ষেপণ করা না হয়। দেশের বিভিন্ন
স্থানে বিষধর সাপ চন্দ্র ভোড়া বা রাসেল ভাইপার
ধরা পড়ায় সেটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পাশাপাশি এই সাপের বিষক্রিয়া
নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা। তবে
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। সেখানে ‘রাসেল ভাইপার’ নামের বিষধর সাপের উৎপাতের খবর ছড়ানো হলেও এখনো পর্যন্ত জেলার কোথাও এই সাপ উদ্ধার
বা এর দ্বারা কারো
আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার
দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত
করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। খবর বাসসের জানা যায়, স্থানীয় কয়েকটি ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপে শহরের পুনিয়াউটসহ বেশ কিছু এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়ার খবর পোস্ট করা হয়। এসব পোস্ট দ্রুত ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে পড়ে। নাসিরনগরের দত্ত বাড়ি এলাকা থেকে গত দুই বছর
আগে উদ্ধার হওয়া রাসেল ভাইপারের নিউজ ক্লিপটিই এতে প্রচার করা হচ্ছে। ফেসবুকে এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে
পড়লে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই
ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, জেলার কোথাও রাসেল ভাইপার সাপে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। যদি কেউ এই সাপে আক্রান্ত
হয় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। আক্রান্ত কাউকে যেন কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়ে কালক্ষেপণ করা না হয়।
কবিরাজ
সাপে কাটা রোগীর দেহে ক্ষত তৈরি করে, এতে ইনফেকশন হয় উল্লেখ করে
তিনি আরও জানান, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত এন্টিভেনাম মজুদ আছে। এছাড়া ২৫০ শয্যার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালেও পর্যাপ্ত এন্টিভেনাম আছে। যা দিয়ে আগামী
তিন মাস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন