মালয়েশিয়ায়
ধরপাকড়, ৮৪ বাংলাদেশিসহ আটক
তিন শতাধিক
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) জাফরি এমবোক এক বিবৃতিতে বলেন, ড্রোন নজরদারিসহ প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে য ১৩০টি কন্টেইনারে আটশ’ ৫০ থেকে এক হাজার অভিবাসীকে রাখা হয়েছিল।মালয়েশিয়ায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বিদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করার পর দেশটিতে এই ধরপাকড় শুরু হলো। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শত শত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
দেশটির
জোহর রাজ্যে শনিবার সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৮৪ বাংলাদেশিসহ তিন
শতাধিক অভিবাসীকে আটক করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন।
ইমিগ্রেশনের
ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) জাফরি এমবোক এদিন এক বিবৃতিতে বলেন,
‘কয়েক দিনের ড্রোন নজরদারিসহ প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, ১৩০টি কন্টেইনারে আটশ’ ৫০ থেকে এক
হাজার অভিবাসীকে রাখা হয়েছিল।
এনফোর্সমেন্ট অফিসার, সিভিল ডিফেন্স ফোর্স, ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, পিপলস ভলান্টিয়ার কর্পস (রেলা) ও ন্যাশনাল অ্যান্টি-ড্রাগস এজেন্সির সম্মিলিত ১৩০ জনের একটি দল এই অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকারী দলের আসার গাড়ির শব্দ শুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অভিবাসীদের মধ্যে।
দলটি
যখন নির্মাণস্থলে অভিযান চালায় তখন মোট ২৫২ জন অভিবাসীকে স্ক্রিন
করা হয়। তাদের মধ্যে ১২৯ জনকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে
নিয়ম লঙ্ঘন, ওভার স্টে, চাকরিলাভের মাধ্যমে তাদের সামাজিক ভিজিট পাসের অপব্যবহার করে অনুমতি ছাড়াই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নির্মাণস্থলে
আটকদের মধ্যে একজন ৪০ বছর বয়সি
মালয়েশিয়ান ছিলেন। তিনি নিজেকে অভিযানে আটক ৩০ জন চীনা
নাগরিকের অনুবাদক বলে দাবি করেছিলেন। অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তাকে আটক করা হয়।
একই স্থানে আটকদের মধ্যে ৮৪ বাংলাদেশি রয়েছেন। এ ছাড়া ভারতীয়, ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার ও পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন।
অভিযানকারী
দলটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অন্য নির্মাণস্থলে অভিযানের সময় ৭২৫ অভিবাসীকে স্ক্রিন করে। মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের
মধ্যে ১৯৮ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশের একজন নাগরিক ছিলেন যিনি গ্রেপ্তার এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন