কতটুকু সম্পদ থাকলে কুরবানি দিতে হবে
নিউজ ডেস্ক,১০.৬.২০২৪
প্রতীকী ছবি
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। আগামী ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুরবানি। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু জবাহের মাধ্যমে কুরবানি আদায় করতে হয়। কুরবানির জন্য উপযোগী পশু দিয়ে কুরবানি করতে হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক,
সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, মুকিম, মুসলিম নর-নারী ১০
জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত
পর্যন্ত সময়ের ভেতরে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। (আল মুহিতুল বুরহানি
: ৬/৮৫)
কোরবানির নিসাব
সাড়ে
সাত ভরি স্বর্ণ বা বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রুপা
বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র, যার মূল্য সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমপরিমাণ, তা কোরবানির নিসাব।
গত শনিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি গ্রাম ১৪৭ টাকা। সেই হিসাবে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্য ৫২.৫*১৭১৪= ৮৯,৯৮৬ টাকা বা এর চেয়ে বেশি।
আর
১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ৮১২৯ টাকা। সেই হিসাবে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মূল্য ৭.৫*৮৭.৪৫= ৭ লাখ ১০
হাজার ৮৮১টাকা।
উল্লেখ্য,
টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মৌলিক প্রয়োজনাতিরিক্ত জমি ও বাড়ি, ব্যাবসায়িক
পণ্য ইত্যাদি কোরবানির নিসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। (আলমগিরি : ৫/২৯২-২৯৩)
নিসাবের মালিক না হলে কোরবানির বিধান
নিসাবের
মালিক নয় এমন ব্যক্তির
জন্য কোরবানি করা মুস্তাহাব। তবে তিনি কোরবানির নিয়তে কোনো পশু ক্রয় করলে তা কোরবানি করা
ওয়াজিব হয়ে যায়। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/১৯২)
কোরবানির সময়
১০
জিলহজ ঈদের নামাজের পর থেকে ১২
জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে কোরবানি করা যায়। তবে ১০ জিলহজ ও
দিনে কোরবানি করা উত্তম। আর কোরবানির দিনগুলোতে
কোরবানি করা সম্ভব না হলে ক্রয়কৃত
পশু বা কোরবানির মূল্য
সদকা করে দিতে হবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৫৪৫, আলমগিরি : ৫/২৯৫-২৯৭)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন