বায়েক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাই চিনিতে বাজার সয়লাব, থামানো যাচ্ছে না চোরাচালান
নিউজ ডেস্ক,১১-৬-২০২৪
ফাইল ছবিসীমান্তবর্তী শত শত পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে নিম্নমানের চিনি আসছে বিপুল পরিমাণে। এই চোরাচালান রোধে বিজিবি, পুলিশ তৎপর হওয়া সত্ত্বেও ব্যাপকতা কমছে না। ভারতীয় চিনি দেশি চিনির বস্তায় ভরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় ও মদতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেএকাধিক সূত্রটি জানান।
কসবায় চোরাই চিনি আটকের পরিমাণ বাড়লেও পাচার বাড়ছে পাহাড় কাটার পাশাপাশি চিনি পাচার এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুকে পড়েছে ছেলে মেয়ে ও মহিলারা।
পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি ছড়ার পাশে জনাপঞ্চাশেক লোক। মাথায় বস্তা। সারিবদ্ধভাবে নেমে আসছেন তারা। ছড়ার ওপারে মাথার বস্তাগুলো ফেলে চলে যাচ্ছেন। এরপর সেখান থেকে অন্য পন্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কসবা উপজেলার সীমান্ত এলাকার এ দৃশ্য এখন জেলার সীমান্তবর্তী অন্য উপজেলাগুলোতেও দেখা যাচ্ছে।
কসবার বায়েক এলাকার খাদলা,পুটিয়া,শ্যামপুর,অষ্টজঙ্গল,মাদলা এলাকার সীমান্তে চোরাচালান বলতেই এখন যে পণ্য, সেটা হচ্ছে চিনি। গত প্রায় দুই বছর ধরে চিনির চোরাচালানের জেরে এখন কোনটা ভারতীয়, আর কোনটা দেশি চিনি- সেটা চেনা দায়। পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতীয় চিনি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ১০০ টাকায়। দেশি চিনির দাম ৬ হাজার ৭০০ থেকে ৬ হাজার ৮৫০ টাকা। দামের তারতম্য থাকায় চিনির চোরাচালান থামছে না।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চোরাই চিনি ধরপাকড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে গোয়েন্দা পুলিশও সক্রিয়। কিন্তু এ অভিযানেও সুফল মিলছে না। বস্তার পর বস্তা চিনি ধরা পড়লেও থামছে না চোরাই চিনির কারবার।
প্রতি
রাতে বায়েক
দিয়ে আসছে ৫০লাখ
টাকার ভারতীয় চিনি ।চিনি বিক্রি হচ্ছে নয়নপুর বাজার থেকে
কুটি বাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে চোরাইপথে আসা চিনি গুলো খুবই নিম্মমানের।এই
গুলো দেখলে মনে হয় চিনি না সাদা ময়দা চিনার উপায় নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন