নারী ও মা বিবেচনায় পরীমণির জামিনে আপত্তি করেননি বাদী

 ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা

নারী মা বিবেচনায় পরীমণির জামিনে আপত্তি করেননি বাদী

নিউজ আপডেট ডেস্ক:২৫ জুন ২০২৪ 



ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় নায়িকা পরীমণি তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।


মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন সকাল ১১টার দিকে এজলাসে বসেন বিচারক। শুনানির সময় এজলাসে আসামির ডকে উঠেন পরীমণি জিমি। এসময় মামলার বাদী নাসির উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।



 আসামি পক্ষে নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল আসামি পরীমণির জামিন আবেদনে অনাপত্তি জানান। এসময় তিনি আদালতকে বলেন পরীমণি একজন নারী মা এজন্য তার জামিনে বাদীর কোন আপত্তি নেই। এরপর বিচারক হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। একইসাথে মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী অক্টোবর দিন ধার্য করেন।



গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে পরীমণি তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।



সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

 এর আগে ২০২১ সালের জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।



 মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোটক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।


 এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সার্ভিংগ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।



 বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর হত্যার হুমকি দিয়েছেন বোটক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Instagram

Smartwatchs