জাল স্বাক্ষরে বড়হরণ মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিতের অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত নির্বাচনের আশ্বাস ইউএনও’র

 জাল স্বাক্ষরে বড়হরণ মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিতের অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত নির্বাচনের আশ্বাস ইউএনও’র

নিউজ ডেস্ক:


জাল স্বাক্ষরে দেয়া অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন—২০২৪ স্থগিত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশচয়তা। এ অবস্থায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পুণরায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গত ২ জুন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির এই স্মারকলিপি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্যকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
 পরে প্রিজাইডিং অফিসার চুড়ান্ত ভোটর তালিকা প্রণয়নের বিষয় নিশ্চিত হয়ে বিগত ১৬ মে এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। এতে ২১ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন দাখিল, ২৮ মে মনোনয়ন বাছাইয়ের তারিখ এবং ৩০ মে মনোনয়ন প্রত্যাহার ও ১০ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে মাদ্রাসার দাতা সদস্য মোঃ এলেম খানসহ কিছু গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ আনেন। 
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে মনোনয়ন বাছাইয়ের দিনে প্রিজাইডিং অফিসার বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করে।
তবে অভিভাবক সদস্য পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের দ্বারা অবৈধভাবে বাধ্য হয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য বড়হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করেছেন।

এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৭২ জনের স্বাক্ষর দেয়া অভিযোগকারীর মধ্যে মাহাজন মিয়া ও সিরাজ মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা স্বাক্ষর দেননি বলে স্বীকার করেন।
অভিযোগকারী দাতা সদস্য মোঃ এলেম খান এই প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন ৭২ জনের স্বাক্ষরের মধ্যে কয়েকজনের স্বাক্ষর সঠিক নাও হতে পারে। 
অনেকে আবার ভয়েও স্বাক্ষরের বিষয়টি স্বীকার নাও করতে পারেন।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য প্রভাবশালীদের দ্বারা ম্যানেজের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে এখানে চাকুরী করছি। আমি টাকা পয়সা খাইনা। আমাকে ম্যানেজ করা এত সহজ না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Instagram

Smartwatchs