কসবা উপজেলার সিনাই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার,হুমকির মুখে মৎস্য সম্পদ ও জলজ প্রাণী

 কসবা উপজেলার সিনাই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার,হুমকির মুখে মৎস্য সম্পদ  জলজ প্রাণী

নিউজ আপডেট ডেস্ক:০১আগষ্ট ২০২৪


 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  কসবা উপজেলার অভ্যন্তরে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারে দুষ্কৃতকারী চক্রের অবাধ তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে। সিনাই,বুড়ি,রাজার খাল ,সালদানদী,তিতাসসহ বিভিন্ন নদ-নদী খালে বিষ প্রয়োগে মৎস্য শিকারের প্রবণতায় হুমকির মুখে পড়েছে  উপজেলার মৎস্য সম্পদের প্রজনন উৎপাদন। অসাধু মাছখেকোদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে চলছে মৎস্য নিধনের অনৈতিক কারবার। মাছ শিকারী নামধারী এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারীদের অতি অল্প সময়ে বেশি মাছ আহরণ লাভ হলেও কসবা উপজেলার প্রকৃত জেলেরা নিঃস্ব হচ্ছে। 

আর কারণে উপজেলার অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার করায় শুধু মৎস্য সম্পদই নয়, হুমকির মুখে পড়ছে নদ নদী,খাল বিল,জলাশয়ের জলজ প্রাণীও। এদিকে মাছ শিকারের জন্য  নদ নদী সংলগ্ন এলাকায় হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে বিষ বা কীটনাশক। কোনো নিয়মের বালাই যেন নেই এসব এলাকার দোকানগুলোতে। কসবা উপজেলা পৌর শহরসহ যে কোনো কীটনাশকের দোকানে গেলেই পাওয়া যাচ্ছে মাছ শিকারের ওষুধ। কসবা পৌর শহরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ শিকারের নানা ধরনের বিষ। তবে দোকানিদের দাবি, কীটনাশক শুধু যে মাছ শিকারের জন্য ব্যবহার হয় তা নয়, কৃষি জমিতে ফসলের পোকা দমনসহ অন্য কাজেও ব্যবহার হয় বিষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলায় ৩৩শত হেক্টরে  এলাকাজুড়ে রয়েছে বিশাল জলভাগ।

কসবা উপজেলাসহ এখানকার অসংখ্য খালে বিলে আছে তিন শতাধিক প্রজাতির মাছ। পরিবেশ  মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবশ্য মাছ শিকারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলার অভ্যন্তরের বেশ কিছু নদ-নদী খালকে। মৎস্য অধিদপ্তর বিভাগ সূত্র জানায়, পূর্ব পশ্চিম বিভাগ মিলিয়ে পুরো উপজেলার  অভ্যন্তরে থাকা মোট ১০টি ইউনিয়ন একটি পৌর সভায় আওতাধীন পুকুর ৫হাজার ৩৫০টি,নদী ৪টি,সমতল ভূমি খাল ২০ হেক্টর,ধান জমিদে মাছ চাষ রয়েছে ৩৩শত হেক্টর সব ধরনের জেলে প্রবেশ মাছ ধরার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।


কারণ নিষিদ্ধ  খাল,নদ নদী,জলাশয়ে  ডিমওয়ালা মা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য অবস্থান নেয়। মাছের প্রজননের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ তা শিকার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।  সকসবা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, গত পাঁচ বছরে নিষিদ্ধ খালে মাছ শিকারের অপরাধে ৫০টি অভিযান চালানো হয়েছে।  এছাড়া  রিং জাল ৩০টি ,কারেন্টজাল ১৫ হাজার গণমিটার আটক করে পুড়িয়েছেন।


 কসবা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভুইয়া জানান, বিষ দিয়ে মাছ ধরায় অন্য সব প্রজাতির মাছই ধ্বংস হচ্ছে, পাশাপাশি এর সঙ্গে  পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কসবা উপজেলায় বিষ দিয়ে মাছ শিকারের প্রবণতা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছেন বলে তিনি জানান গতকাল ৩১ জুলাই ২০২৪ইং  কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সিনাই নদীতে জীব বৈচিত্র ধ্বংস বিষ দিয়ে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন বিষয়ে প্রায় কয়েক লাখ টাকা মাছ নিধন করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Instagram

Smartwatchs