টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নিউজ আপডেট ডেস্ক : ৩জুলাই ২০২৪
বি: টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুদক টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বিপ্লব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
প্রকৌশলী একেএম জিন্নাতুল হক।
তাদের বিরুদ্ধে পারস্পারিক যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণ ও কোনো ঝুঁকি নিয়ে ঢালাই কাজ করা যাবে না বলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নির্দেশনা দেন। ২০২২ সালের ১৬ মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু গার্ডার ও ক্রস গার্ডার এবং দুই দিন পর ১৮ মে ডিক স্লাব ঢালাই করেন। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তড়িঘড়ি করে ২০২২ সালের ২৬ মে চতুর্থ চলতি বিলের জন্য আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে মেয়র এসএম সিরাজুল হক নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী, সহকারী প্রকৌশলী রাজিব কুমার গুহ এবং উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম জিন্নাতুল হক প্রত্যয়ন করেন দরপত্রের শর্ত মোতাবেক সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের মান সন্তোষজনক হওয়ায় ঠিকাদারকে চতুর্থ বিল বাবদ ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৪ টাকা পরিশোধ করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন। সে মোতাবেক প্রকল্প পরিচালক ওই বছরের ৬ জুন চতুর্থ বিলটি পরিশোধ করেন। এরপর ওই বছর ১৬ জুন নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়ে।
মামলায় বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংগৃহীত রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেতুটি নির্মাণ কাজে যথেষ্ট অবহেলা করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নকশা অনুসরণ না করে কাজ করলেও পৌরসভার প্রকৌশলীরা কাজ বন্ধ না করে দায়িত্বে চরম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। পৌরসভার মেয়র প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম হচ্ছে জেনেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।
মামলায়
উল্লেখ করা হয়, নিরপেক্ষ প্রকৌশলী কর্তৃক পরিমাপের সময় চতুর্থ বিলে গার্ডার ও স্লাবের বিল
বাবদ পরিশোধিত ৯০ লাখ ৪৫
হাজার ৪৯৪ টাকার কাজ দৃশ্যমান পাওয়া যায়নি।
নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই বছর ১৬ জুন রাতে পানির স্রোতে নির্মাণাধীন সেতুর পশ্চিম পাশের বাঁশ ও কাঠের খুঁটিগুলো সরে গিয়ে সেতুর একাংশ দেবে যায়। পরবর্তীতে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করে।
নিম্নমানের
নির্মাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির
কারণেই তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮
হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি দেবে যায় বলে দুদকের মামলায় বলা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন