ওরা ১৩ জন রোহিঙ্গা না বাংলাদেশি?

 ‘ওরা ১৩ জন রোহিঙ্গা না বাংলাদেশি?

নিউজ আপডেট ডেস্ক:২৭জুন ২০২৪



• দুদক কর্মকর্তারা ১৩ জনকে রোহিঙ্গা বলে মামলা দিয়েছিলেন

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অব্যাহতি দিতে উল্টো দুদকেরই আবেদন

একই কর্মকর্তার প্রতিবেদনে প্রথমে তারা বাংলাদেশি

দ্বিতীয় প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফের বাংলাদেশি

অপর ডিএসবি কর্মকর্তার পৃথক প্রতিবেদনে পাঁচজনই রোহিঙ্গা

জড়িত সরকারি কর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি


কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ১৩ জনকেরোহিঙ্গাদাবি করে মামলা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারি কয়েকটি দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নাগরিকদের মতো অনলাইন জন্মসনদ জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই পেয়েছিলেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট। কারণে মামলায় নির্বাচন কমিশন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

 সম্প্রতি মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক। দীর্ঘদিনের তদন্ত শেষে সংস্থাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যে ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলসেটি মিথ্যা যদিও তদন্তের আগে অনুসন্ধান শেষে সংস্থাটি মামলার এজাহার দায়ের করেছিল। প্রতিবেদনে পুলিশ, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।



জানা যায়, বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারা এ দেশের জন্মনিবন্ধন, এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট পাচ্ছেন সুনির্দিষ্ট এমন অভিযোগ পেয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। ওই দলে ছিলেন দুদকের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক সুভাষ দত্ত, মুহ. মাহবুবুল আলম, মো. সালাউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী এবং চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।



১৩ রোহিঙ্গার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে নানা নথিপত্র সংগ্রহের প্রমাণ মেলে দুদকের অনুসন্ধানে / ঢাকা পোস্ট

ওই সময় জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩ রোহিঙ্গার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে নানা নথিপত্র সংগ্রহের প্রমাণ মেলে দুদকের অনুসন্ধানে। তারা কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়ন থেকে চেষ্টা চালায়।


 এরপর অনুসন্ধান দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ১৭ জুন দুদকের চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে রোহিঙ্গাদের আসামি করার পাশাপাশি অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়।

 ওই মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার ঈদগাহ উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. তৈয়ব, মোহাম্মদ ওয়ায়েস, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মোহাম্মদ রহিম, আবদুর রহমান, আব্দুস শাকুর, নুর হাবিবা, আমাতুর রহিম, আসমাউল হুসনা, আমাতুর রহমান, নুর হামিদা, মোহাম্মদ ওসামা, হাফেজ নুরুল আলম, পুলিশ পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমান, মো. রুহুল আমিন, প্রভাষ চন্দ্র ধর এবং তৎকালীন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন।


 সারা দেশে কত রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছেন, জানতে চান হাইকোর্ট

রাখাইনে সংঘাত : বাংলাদেশে ফের রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা একে-অপরের সহযোগিতায় অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করে ভুয়া জাতীয়তা জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানপূর্বক এর বিপরীতে বালাম বই গায়েব করে ভুয়া পরিচয়, নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদান গ্রহণ করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণসহ জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। অভিযুক্তরা দণ্ডবিধি ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের () ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

 লিখিত এজাহার পেয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম- এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলাটি রেকর্ড করেন।

 এলাকায় রোহিঙ্গা বেড়ে যাওয়ায় একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছিল। গ্রাম পুলিশ, ইউপি মেম্বার স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ওই তালিকায় পুরো ইউনিয়নে ৮০০ রোহিঙ্গা শনাক্ত করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগ ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। ওই এলাকায় মামলার আসামি মোহাম্মদ তৈয়বসহ অন্যরা থাকেন। তাদের নাম ইউনিয়নের বালাম বইয়ে রোহিঙ্গা হিসেবে লেখা রয়েছে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Instagram

Smartwatchs