জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

 জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ আপডেট ডেস্ক :৩ জুলাই ২০২৪


জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


২০০৯ সালে বাবুকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে আসামিরা। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ১৫ বছর আগের কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।  বুধবার জয়পুরহাটের দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম দুই আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের ভারপ্রাপ্ত আইনজীবী বদরুল হোদা জানান।


 দণ্ডিতরা হলেন- আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর আজিজুল হক। এদের মশিউর আজিজুল ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।


 মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।

 শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন জিনিস স্টক করে ব্যবসা করতেন। ২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কাঁকড়া ব্রিজের কাছে ব্যবসার টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আসামিরা বাবুকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন।


 এরপর তার লাশ নদীতে ফেলে তারা পালিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।   ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু বক্কর বাদী হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।


 তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়।

 

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Instagram

Smartwatchs