প্রাথমিকে এক বছরে কমল ৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
নিউজ আপডেট ডেস্ক ৩০ জুন ২০২৪
প্রাথমিক
ভর্তির হার ধীরে ধীরে কমছে। করোনা মহামারিতে ঝরে পড়ার ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে আগের
বছর চেয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি কমেছে ৮ লাখ ৩২ হাজারের বেশি।
যদিও এক বছরের ব্যবধানে দেশে প্রাথমিক স্তরে বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। জন্মসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকা, দারিদ্র্যতা, অভিভাবকদের অর্থনৈতিক চাপে শিশু শ্রমে যুক্ত হওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষায় ঝুঁকেছে, ইংরেজি মাধ্যমের ভর্তির হার বাড়তে থাকায় প্রাথমিকে ভর্তির হার কমার কারণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারিতে (এপিএসসি) এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত মাসে প্রকাশ করা হয়েছে এই শুমারি প্রতিবেদন। এতে বিগত কয়েক বছরের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ঝরে পড়ার হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতও কমেছে।
শুমারিতে
থেকে জানা গেছে, করোনা মহামারি বছর ২০২০ সালে দেশে প্রাথমিকে মোট শিক্ষার্থী ছিল ২
কোটি ১৫ লাখের বেশি। পরের বছর ২০২১ সালে সাড়ে ১৪ লাখের বেশি কমে যায়। এরপর করোনা কমে
এলে পরের বছর ২০২২ সালে শিক্ষার্থী আবারও কিছুটা বাড়লেও গত বছর দেশে প্রাথমিকে মোট
শিক্ষার্থী তার আগের বছরের চেয়ে ৮ লাখ ৩২ হাজারের বেশি কমে গেছে।
২০২৩ সালের শুমারির তথ্য বলছে, আগের বছরের চেয়ে এখন মোট বিদ্যালয় বেড়েছে ৯১টি। দেশে এখন মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩০টি। এর মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৭টি, যা আগের বছর ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি। এসব বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ৯৭ লাখের বেশি, যা আগের বছর ছিল প্রায় ২ কোটি সাড়ে ৫ লাখ। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে প্রায় এক কোটি এক লাখ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন