শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে, বাংলোবাড়ির পাহারায় জার্মান শেফার্ড

 শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে, বাংলোবাড়ির পাহারায় জার্মান শেফার্ড

নিউজ ডেস্ক: ১০ জুন ২০২৪

     শাহীনের বাংলোবাড়ি প্রাঙ্গণের আম গাছে বাঁধা তিন জার্মান শেফার্ড ছবি সংগৃহিত

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সামনে আসে শাহীনের বাগানবাড়ি। সেখানে এমপি আনারও একাধিকবার গেছেন বলে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই শতাধিক সিসি ক্যামেরায় বাড়িতে চোখ রাখেন আনারের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর বাড়ির পাহারায় দায়িত্ব পালন করে তিন জার্মান শেফার্ড।

কোটচাঁদপুর শহর থেকে সাড়ে কিলোমিটার দূরে এলাঙ্গী গ্রামের নির্জন মাঠ। হাতের ডান পাশে গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার যাওয়ার পর মহাসড়ক থেকে সরু পাকা রাস্তা দুই ভাগ। মাঠ পেরিয়ে চারপাশে জঙ্গল, কাঁটাতার ফুলেঘেরা বেড়া। ভেতরের আমবাগানের এক প্রান্তে বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি, যা দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বাড়ির দ্বিতীয় তলার বেশিরভাগই কাচঘেরা। ঝুলছে বড় বড় পর্দা। আশপাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে আর কোনো বাড়ি নেই

                   দেশে এলে বাংলোবাড়িতে থাকেন শাহীন

 বছর তিনেক আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন দোতলা এই বাংলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে এই বাড়িতেই থাকেন শাহীন। সে সময় বিলাসবহুল গাড়িতে করে প্রভাবশালী লোকজনের আনাগোনা থাকে বাংলোয়। তবে কারা, কেন, কোথা থেকে আসেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি স্থানীয়রা।


 সম্প্রতি শাহীনের বাগানবাড়ি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সড়কের পাশেই বাগানবাড়ির খয়েরি রঙের বিশাল লোহার গেট। গেটের দুই পাশে একাধিক সিসি ক্যামেরা। শুধু গেটেই নয়, বাংলোর চারপাশ ঘিরে রয়েছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। এসব সিসি ক্যামেরায় যুক্তরাষ্ট্রে বসে সার্বক্ষণিক মনিটর করেন আক্তারুজ্জামান শাহীন।

                বাংলো পাহারায় জার্মান শেফার্ড

 মূল গেট দিয়ে বাংলোর ভেতরে ঢুকতেই পাশে পড়ে আমবাগান। বাগানের তিনটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা তিনটি বিদেশি কুকুর (জার্মান শেফার্ড) দূর থেকে অপরিচিত কাউকে দেখলেই কুকুর তিনটি ঘেউ ঘেউ করে ডেকে ওঠে। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা সজাগ হন।


জার্মান শেফার্ড তেজি, বুদ্ধিমান কুকুর হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। অ্যালসেশিয়ান নামে খ্যাতি আছে। আকারে বেশ বড় এবং হিংস্র এরা। একসময় ভেড়ার পালের পাহারায় জাতের কুকুর ব্যবহার হতো। প্রশিক্ষণ দিলে এর মনিবের জন্য জীবন দিতেও পিছপা হয় না। নিরাপত্তাজনিত কাজের জন্য এরা ওস্তাদ। বিভিন্ন বাহিনীর বিশেষ ইউনিটে এদের দেখা যায়। শাহীনের অ্যালসেশিয়ানগুলো কীভাবে প্রশিক্ষিত তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে সামনাসামনি এর ডাক বলে দিচ্ছিল অপরিচিতি কাউকে সহজে ছাড়ার পাত্র তারা নয়। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও তার বাড়ির পাহারায় অবিচল থাকে বিশ্বস্ত তিন রক্ষী।


বাংলোয় বিলাসবহুল জীবনযাপনের ব্যবস্থা 



ভেতরের পাকা রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩০০ গজ এগোলে দোতলা বাংলো। বাংলোর চতুর্দিক থেকে কাচ দিয়ে ঘেরা। তার পাশে সুইমিংপুল। সুইমিংপুলের পাশে আরেকটি দোতলা ভবন। ভবনটিও কাচঘেরা। বাংলোর ভেতরে রয়েছে পুকুর, গরুর খামার। বারবিকিউ পার্টির জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Instagram

Smartwatchs