জিম্মি
উদ্ধারে ব্যাপক হামলা, গাজার মধ্যাঞ্চলে ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত
আন্তর্জাতিক
ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে আজ শনিবার গণহত্যা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। চার জিম্মিকে উদ্ধারে এদিন গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত শরণার্থী ক্যাম্পটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা। এতে অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, “নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে চালানো ইসরায়েলি গণহত্যায় ২১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪শরও বেশি ফিলিস্তিনি।
যে
চার জিম্মিকে আজ উদ্ধার করা
হয়েছে তাদের গত ৭ অক্টোবর
একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে ধরে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা।
ইসরায়েলি
প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মের জান (২১), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭) এবং সলমি ঝিভ (৪০)।
আহতদের
শরণার্থী ক্যাম্পটির আল আওদা এবং
দেইর এল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।
এই চারজনকে দিনের বেলা চালানো ‘জটিল’ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল। অভিযানটি চালিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। তাদের মধ্য গাজার নুসেইরাতের আলাদা দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ইসরায়েলি
প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারের সময় নুসেইরাতে জল, স্থল ও আকাশ তিন
দিক থেকেই হামলা চালানো হয়।
তবে গাজায় এত মানুষের হতাহত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি ইসরায়েল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়, চারজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেখানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে তারা।
হামাসের
জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ৯ মাস যুদ্ধ
করার পর চার জিম্মিকে
উদ্ধার করার বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য একটি ব্যর্থতা। এটি কোনো অর্জন নয়।
সূত্র:
আলজাজিরা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন