ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৬ প্রার্থী কারা, কী তাদের পরিচয়?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:১১ জুন ২০২৪
আসন্ন প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৬ প্রার্থীকে অনুমতি দিয়েছে ইরানের শক্তিশালী
‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী হবেন ইসলামী
প্রজাতন্ত্র ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্তভাবে অনুমতি পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, মোহাম্মদ বাকের কলিবফ, আলী রেজা যাকানি, সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান।
এখানে
তাদের পরিচয়, অতীতের কর্মতৎপরতা ও দায়িত্বের সংক্ষিপ্ত
রেকর্ড তুলে ধরা হলো:
মাসুদ
পেজেশকিয়ান (সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও হার্ট সার্জারি
বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী)
তার জন্ম হয়েছিল পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ১৯৭৩ সালে প্রথম ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ার পর তিনি ১৯৭৫ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে দ্বিতীয় ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন। এরপর তাব্রিজ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৭৬ সালে।
মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট খাতামির দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তাব্রিজ অঞ্চলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইরানের জাতীয় সংসদ মজলিশের সদস্য তথা সংসদ ছিলেন পর পর ৫ বার।
দশম সংসদে তিনি ছিলেন প্রথম ডেপুটি স্পিকার। এবারের নির্বাচনে একমাত্র তিনিই সংস্কারকামী ধারার প্রার্থী।
তার জন্ম হয়েছিল কোম প্রদেশে ১৯৬০ সালে ৯ মার্চ। ইসলামী আইন ও বিচার এবং দর্শন বিষয়ে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা কোমে শেষ করার পর বিচার ও ইসলামী আইন বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের পড়াশোনা করেছেন মাশহাদ ও কোম এবং তেহরান শহরে।
১৯৭৯ সালে মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী ইসলামী বিপ্লবী আদালতের প্রসিকিউটর বা কৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইরানের কয়েকটি প্রদেশে এই পদে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন গোয়েন্দা বিষয়ক উপমন্ত্রী।
২০০৫-২০০৮ মেয়াদে মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে তিনি ছিলেন জাতীয় তদন্ত দপ্তরের প্রধান। ২০১৩-১৭ মেয়াদে তিনি ছিলেন বিচারিক বিষয়ক মন্ত্রী। বর্তমানে তিনি সংগ্রামী আলেম সমাজ নামক দলের মহাসচিব এবং ইসলামী বিপ্লবের দলিল-পত্র বিষয়ক কেন্দ্রের প্রধান।
তার
জন্ম হয়েছিল মাশহাদ শহরে ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। কলেজ
ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে কয়েকবার তিনি প্রতিরক্ষার যুদ্ধে (ইরাক-ইরান) অংশ নেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন