ভারতে স্পিকার পদ পেতে মরিয়া সকলে, কেন এই পদ এতো গুরুত্বপূর্ণ?
আন্তর্জাতিক
ডেস্ক
৭ জুন ২০২৪
ভারতের
নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ফাইল ছবি)
ভারতে
টানা তৃতীয় দফায় সরকার গঠনের দিকে এগোচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে জোট
সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে তার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে। সুযোগ বুঝে জোট এনডিএ’র শরিক দলগুলোও
বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে।
মূলত
বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষিতে এগিয়ে
রয়েছেন নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার পদটির জন্যও দাবি জানিয়েছে বিজেপির একাধিক শরিক দল।
কিন্তু
স্পিকার পদের প্রতি সবার নজর কেন? কেন তারা এই পদ পেতে
আগ্রহী? বিজেপিই বা কেন স্পিকার
পদে নিজেদের লোককে বসাতে মরিয়া?
ভারতীয়
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সবচেয়ে বড় দুই শরিক হলো টিডিপি এবং জেডিইউ। দুই দলই স্পিকার পদ পাওয়ার দাবি
জানিয়েছে।
মূলত
জোট সরকার যখন গঠিত হয়, তখন বিভিন্ন ইস্যুতে স্পিকারকে যে সব গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা নিতে হয়, তা অজানা নয়
চন্দ্রবাবু নাইডুর। কারণ তার দল অতীতে একাধিক
জোট সরকারে শামিল থেকেছে। তাই এর গুরুত্ব টিডিপি
ভালোই বোঝে।
সাধারণত
লোকসভার অধিবেশনের প্রথম দিনে স্পিকার নির্বাচন করা হয়। তার আগে প্রোটেম স্পিকার হিসাবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অধিবেশনে স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তারাই
এই দায়িত্ব পালন করেন।
স্পিকারের
হাতে কী ক্ষমতা আছে?
লোকসভার
স্পিকার হলেন লোকসভার প্রধান। একইসঙ্গে তিনি সংসদের নিম্নকক্ষের মুখপাত্রও। সংসদ পরিচালনা, সংসদের ভেতরে সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি দেখভাল করা এবং সংসদ পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্পিকারের কাঁধে ন্যস্ত থাকে।
এছাড়া
স্পিকারকে সংবিধানের শেষরক্ষক হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। প্রশ্ন যখন জোট সরকারর পরিচালনার হয়, তখন স্পিকারের গুরুত্ব বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। সংসদের ভেতরে অধিবেশন পরিচালনায় স্পিকার মুন্সিয়ানার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।..বিস্তারিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন