কসবার হাট
বাজারে তালের শাঁস বিক্রির ধুম
তানভীর আলম
ঢালী:
প্রচন্ড গরমে কসবায় কদর বেড়েছে তালের শাঁসের। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া রসালো এ ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কচি তালের শাঁস ও পাকা তাল কসবায় অনেক জনপ্রিয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে।
সরেজমিনে
দেখা যায়, কসবা সদর,পুরাতন বাজার,কুটি বাজার,গোপীনাথপুর,নয়নপুর,চন্ডিদ্ধার,কদমতুলি,চারগাছ,খাড়েরা,কসবা
রেলওয়ে ষ্টেশনসহ বিভিন্ন
অলিগলিতে, রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ছোট-বড় সব বয়সের
মানুষের পছন্দের খাবার হিসেবে সমাদৃত তালের শাঁস। মানুষের চাহিদা থাকায় পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে এ ফল।
কসবা সদর
এলাকায় আমেনা বেগম পরিবারের
সবার জন্য তালের শাঁস কিনেছিলেন আমেনা বেগম। তিনি বাসসকে বলেন, তালের শাঁসে কোনও ধরনের ভেজাল নেই। তালের শাঁস সুপারশপে বিক্রি হয় না, এটা
কেবল ফুটপাত বা মহল্লার অলিগলিতে
পাওয়া যায়। তালের শাঁস দামও নাগালের মধ্যে থাকায় সবাই খেতে পারছে।
তালের
শাঁস প্রসঙ্গে কসবা হাসপাতালের একজন ডাক্তার অপরাধ
পত্রকে বলেন, তালের
শাঁস অনেক উপকারী। এটা ডায়টের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়া শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া
বন্ধ করে। লিভার, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা এগুলোর জন্যেও উপকারী। এটা খেতেও সুস্বাদু। তাই এ সময়ে সবারই
তালের শাঁস খাওয়া উপকারী।
তালের
শাঁসের খুচরা বিক্রেতা আমিনুল জানান,
গত পনের বছর ধরে গরম এলেই তিনি তালের শাঁস বিক্রি করেন। আগে নিজ গ্রামে বিক্রি করতেন, এখন শহরে বিক্রি করেন। বেচাকেনাও ভালো। সব খরচ বাদ
দিয় দৈনিক সাত-আটশ’ টাকা লাভ থাকে। গরম যতো বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন